তোমার পৃথিবীটা ঘুরে, ঘুরে নাকি অতীত?
পাপ ঘুরে ঘুরে পাপীকে খায়, পুন্যটা ঘুরে শ্মশানে যায়
ইতিহাস নাকি চক্কর কেটে ঘুরে ফিরে আসে
দুলালির ঘরে তারা খাঁড়া বাড়া নিয়ে ঢোকে
গণিকার স্তনে হাত ঘুরে, ঘুরে প্রেয়সীর নাভী ছুঁয়ে
বছর একটাই নাকি নতুন বছর হয়ে ঘুরে, ঘুরে আসে মাস ঋতু
তোমাদের হাগা খাওয়া ঘুরে ঘুরে একই কাজে দিন সারা
ঘুরে ঘুরে একই সরকার পোঁদমারা দিতে আসে দেশে
তোমরা সবাই নাকি ঘুরে ঘুরে পাছা পাতো কালো পাছা চ্যাপ্টা
চাল ডাল দাম বাড়ে পকেটে দুলালির যোনীপথ
বড় ফাঁক ছিন্নভিন্ন দুর্ভিক্ষের শঙ্কায় মাথা ঘুরে
পুরনো সুর সেই পুরনো ঈশ্বর এখনো ঘুরে, ঘুরে প্রভাতফেরীর পুরনো শহীদ
ঘুরে ঘুরে নাকি একই উপগ্রহ ছ্যাচড়া চাঁদ
মাথার উপর পিতা আকাশ হয়ে থাকে, আকাশ-ও তো ভেঙে পড়ে।
তোমরা নাকি ঘুরে ঘুরে একই মানুষ বামন মানুষেরা
জননাঙ্গের স্বপ্নে বিভোর হয়ে ঘরদোর ভরে ফেলো
প্রত্যাখ্যানের চক্রে ঘুরে ঘুরে কেউ সামনে কেউ পিছনে
গরিবের থালা বড়লোকের গাড়ির চাকা সব ঘুরে ঘুরে নাকি বদলায় হাত
শালা পুনর্জীবন শালা পরকাল।
আমি বরং সোজা রাস্তায় ছুটি
লাল ধুলাবালির রাস্তায় ঝড় তুলি
চোখে গাঢ় অন্ধকার, গলায় চিৎকার আলিবালি গান।
১৭ মার্চ, একুশ
ময়মনসিংহ
Comments
Post a Comment